বাংলার শিল্পায়নে গতি আনতে আবারও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার সিংহভাগ আসনে জয়ের পর শিল্পায়নকে লক্ষ্য করে এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারী শিল্প না হলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে যাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আসে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য সেটাই। আর তা করতে গিয়েই শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখার প্রবণতার সমালোচনা করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে শিল্পপতিদের উদ্দেশে মমতার বক্তব্য, আপনারা ভয় পাবেন না। এখানে শিল্পের অনুকূলে রয়েছে পরিবেশ। কেউ কোনও বাধা দিলে রেয়াত করা হবে না। কেন্দ্রকেও ভয় পাবেন না। বিনিয়োগ করুন। সরকার পাশে আছে। পাশাপাশি নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে জমি ফেলে রাখা চলবে না বলেও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে না বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পপতিদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যে শেষবার বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। এই বছর ছিল নির্বাচনের বছর। সে কথা মাথায় রেখে ওই সম্মেলন হয়নি। মূলত নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্য সম্মেলন আর করা সম্ভব হয়নি। শিল্প ও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের হস্তশিল্প, টেক্সটাইল, খাবার সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিভিন্ন আকর্ষণকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে, শোকেস ওয়েস্ট বেঙ্গল। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের উর্বর কৃষজমিতে টাটার গাড়ি কারখানা পত্তনের বিরোধিতা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা। ৩৪ বছরের বাম শাসন উৎখাত করে ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর এই আন্দোলনের। কিন্তু বিরোধীরা বারংবার তাঁকে শিল্প-বিরোধী বলে অভিযোগ করে এসেছে। এদিকে একাধিক বাণিজ্য সম্মেলনের মাধ্যমে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সচেষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও শিল্পপতিদের এ রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন।
এদিকে বিরোধীদের বক্তব্য, ১৩ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী একই কথা বলে যাচ্ছেন। শিল্প সম্মেলন হচ্ছে, কিন্তু শিল্প আসছে না। যদিও বিরোধীদের এই কটাক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।
Discussion about this post