অত্যধিক গরমে ডিহাইড্রেশন একটা কমন সমস্যা।শরীরে জলের পরিমান কমে যাওয়ায় শরীর দুর্বল হয়ে যায়।এই চাঁদিফাটা গরমে শরীরে জলাভাব দেখা দিতে পারে।তাই বিশেষজ্ঞরা বেশি করে জল খেতে বলছেন।তবে ডিহাইড্রেশন সমস্যার সমাধান করতে পারে যোগব্যায়াম।নিয়মিত বেশ কয়েকটি যোগব্যায়াম করলে ডিহাইড্রেশন থেকে আর ভুগতে হয় না।আজকের প্রতিবেদনে জানব কি কি যোগ ব্যায়াম করলে গরমকালে ডিহাইড্রেশন এর থেকে শরীর বাঁচবে।
পদহস্তাসন –
পদহস্তাসনে শরীরে জলের প্রবাহ সঠিক হয়।গরমকালে শরীরে জলের উপস্থিতি সঠিক থাকা জরুরি।কারণ প্রতিটি অঙ্গেই এই সময় জলের চাহিদা বাড়ে।এই ব্যায়াম বসে বা দাঁড়িয়ে দুভাবেই করা যায়। সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা হাঁটুর কাছাকাছি আনতে হবে।এরপর হাত দিয়ে পায়ের পাতা ছুঁতে হয়।ব্যায়ামের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।
শীতলি প্রাণায়াম –
ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে শরীরকে শীতল রাখতে হয়।তাই শীতলী প্রাণায়াম করলে ডিহাইড্রেশন এর সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।শীতলি প্রাণায়াম করলে শরীর অনেক ঠাণ্ডা হয়। ঠোঁট গোল করে নিশ্বাস নিতে হবে। বুকভরে স্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ধীরে ধীরে নাক দিয়ে ছাড়তে হবে।এই ভাবে শীতলী প্রাণায়াম করলে শরীর ঠান্ডা হবে।
প্রাণায়াম –
শুধু যে তাপমাত্রার জন্যই নয়, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও ডিহাইড্রেশনের কারণ।তাই দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমানো উচিত। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে প্রাণায়াম। নাক দিয়ে গভীর নিশ্বাস নিয়ে ধরে রেখে কিছুক্ষণ পর মুখ দিয়ে ছাড়তে হয়।প্রতিদিন এই প্রাণায়াম ৫-১০ মিনিট করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।ততে ডিহাইড্রোশনের সম্ভাবনা অনেকটা কমে।
ভুজঙ্গাসন –
ভুজঙ্গাসন কিডনি ও অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির স্বাস্থ্য ভাল রাখে।এই আসন করতে মেঝের উপর প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর দুহাতে ভর করে ধীরে ধীরে শরীরের উপরের অংশ তুলতে হবে।এই আসন কোমর ও পিঠের জন্যও উপকারী
ত্রিকোণাসন –
ডিহাইড্রেশন এর হাত থেকে বাঁচায় আরো একটি আসন।তা হল ত্রিকোণাসন।
দুই পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে এক হাত দিয়ে এক পায়ের পাতা ছুতে হবে। অন্য হাত উপরের দিকে তাক করা থাকবে।এতে আপনার পেশি নমনীয় হয়।আর শরীরে ডিহাইড্রেশন এর সম্ভাবনা কমবে।
গরমে যোগ ব্যায়াম এর মাধ্যমে সুস্থ থাকতে এই ব্যায়াম গুলি করতে পারেন।তাতে শরীর হবে শীতল ও নমনীয়।জলাভাবের সম্ভাবনা কমলে শরীর আরো সুস্থ সবল।
Discussion about this post