চতুর্থ দফায় রাজ্যে যে ৮ টি কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হল, তার মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্রে বহরমপুর। শুধুমাত্র এ রাজ্য নয়, এই হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে চোখ ছিল গোটা দেশের। কারণ, কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বড়সড় ঘটনা এড়ানো গেলেও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে এই কেন্দ্রজুড়ে। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সকাল থেকেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দুপুর নাগাদ তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, বড়ঞায় কংগ্রেসের এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা এবং মারধরের অভিযোগ। তার বাইক ও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
বড়ঞারই আরেকটি বুথে বুথের ভেতরে মোবাইল নিয়ে ঢোকার অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীকে থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, নওদা বিধানসভার কানাপাড়ার একটা বুথে ভোটারদের হাতে কংগ্রেসের হাত চিহ্ন জোর করে লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযোগ বুথ কেন্দ্রে ঢোকার আগে কংগ্রেসের লোকজন হাত চিহ্ন লাগিয়ে দিচ্ছে। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।প্রসঙ্গত, বহরমপুরে এবার লড়াই ত্রিমুখী। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে ফের একবার এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বিপরীতে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। বিজেপির প্রার্থী চিকিৎসক নির্মল সাহা। কে করবে বাজিমাত? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
Discussion about this post