ডায়মণ্ড হারবার কেন্দ্রে অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করে প্রশ্নের মুখে বিজেপি। অনেকেই বলছেন, এতে আদতে লাভ হল তৃণমূলের। বাড়তি সুযোগ পেলেন অভিষেক।
বড় কোন নাম নয়। বরং ভূমিপুত্র অভিজিৎ দাসকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে চমকে দিয়েছে বিজেপি। অভিজিতের নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে কানাঘুষো। অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে জেনে বুঝেই তৃণমূলকে ডায়মণ্ড হারবার আসনটি উপহার দিল বিজেপি। সুযোগ বুঝে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধীরা ফের একবার তুলে ধরছেন দুই দলের গোপন সমঝোতার কথা।
ডায়মণ্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে অনেকেরই নাম উঠে এসেছিল। জল্পনার তালিকায় ছিলেন রুদ্রনীল, সোনালি, কৌস্তভরা। বিজেপি থেকেও বার বার বড় চমকের দাবি করা হয়েছিল। তবে সব্বাইকে কার্যত হেলায় হারিয়ে উঠে এসেছে অভিজিৎ দাসের নাম। কিন্তু কি ভাবে? কোন ম্যাজিকে? জানা গিয়েছে রাজনীতির শুরু থেকেই সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ। মূলত সঙ্ঘ পরিবারের তরফেই কেন্দ্রের কাছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করার দাবি উঠে আসে। সঙ্ঘের সঙ্গে সহমত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
হাতের তালুর মত চেনা ডায়মণ্ড হারবারে আগেও ২ বার লড়েছেন অভিজিৎ। তবে প্রত্যেকবারই জয় অধরা থেকে গিয়েছে। ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে অভিষেকের কাছে হেরেছিলেন ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে। জেতা তো দুর, দ্বিতীয় স্থানটিও ধরে রাখতে পারেননি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে সোমেন মিত্রের কাছে হেরেছিলেন। পেয়েছিলেন মাত্র ৩৮ হাজার ভোট। যাকে বার বার হারতে দেখা গিয়েছে সেই অভিজিৎকেই কেন বেছে নেওয়া হল ডায়মণ্ড হারবারের প্রার্থী হিসেবে। রাজ্যের শাসকদল তো ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন আসন্ন নির্বাচনে হারের হ্যাট্রিক হবে অভিজিতের।
তবে সব রাজনীতিতে হিসেবের অঙ্ক থাকে। ডায়মণ্ড হারবার কেন্দ্রটিও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। বলাবাহুল্য ২০১৯ সাল থেকে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থানে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে প্রথম একক ভাবে জেতে বিজেপি। সেবার সমগ্র লোকসভা ভোটে বিজেপির ঝুলিতে প্রাপ্তি ছিল মাত্র ২ টি আসন। ২০১৯ এ একলাফে সেটাই বেড়ে হয় ১৮। গত ৫ বছরে আরও পরিবর্তন এসেছে। বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিধানসভায় তাঁর ৭৭ টি আসন রয়েছে। বহু নেতা নেত্রীরা এখন গেরুয়া শিবিরে ভিড়ছেন। বলাবাহুল্য আজ বিজেপির সুদিন। সেই বিজেপি ভূমি পুত্র অভিজিৎকেই বেছে নিল। যাকে জেলার মানুষ কাছ থেকে দেখেছেন। হারলেও লোকসভা ভোটে যার দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। যিনি তাঁর জেলার রাজনীতিকে খুব ভালো ভাবে চেনেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের গেরুয়া আবহে পরীক্ষিত মঞ্চেই আরও একটি বার হার জিতের পরীক্ষায় অভিজিতের উপর ভরসা রাখল দল।
ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না নেতাদের। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের...
Read more
Discussion about this post