ভোটগণনার কাজে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোনও সরকারি কর্মী বা স্কুল শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী প্রত্যেক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলেই জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি কিংবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনও স্কুলের স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও শিক্ষককেই কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
আগামী মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ভোট গণনা। সেদিনই লোকসভা ভোটের ফলাফল জানা যাবে। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ওই দিন ভোট গণনায় কোনও শিক্ষক বা সরকারি কর্মচারীকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও শিক্ষকদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কাজে লাগানো হত। তবে এবার রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও শিক্ষককেই কাউন্টিং এজেন্ট করা যাবে না। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে পুরো প্রক্রিয়াটি নিরপেক্ষ রাখার জন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
তবে শেষ দফার ভোটের আগে তাদের এই সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গের অনেক রাজনৈতিক দলই অসুবিধা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে অনেকদিন ধরেই শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। যাঁরা ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে সমস্ত ভোট প্রক্রিয়াটির মধ্যেই জড়িয়ে থাকতেন। এই শিক্ষকদের মধ্যেই অনেকেই আবার গণনা কেন্দ্রে বিভিন্ন দলের কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। তাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকত না বলেই অভিযোগ উঠেছে নানা সময়ে। সেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যই এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন।
Discussion about this post