মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ওই দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি শুধু হুমকিতেই থেমে থাকেননি, ভারতকে নির্দেশ দিয়ে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিলেন। শেষে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্টের ক্রমাগত চাপের মুখে মালদ্বীপ থেকে ৭৬ জন সেনা জওয়ানকে দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত। কিন্তু এরপরই পাল্টা চাপে পড়লেন মুইজ্জুর সরকার। এখন ফাঁপরে পরে কার্যত নিজেদের ভূল স্বীকার করতে হচ্ছে মালদ্বীপকে।
বেশ কয়েকটি কারণে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে দীর্ঘদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল মোতায়েন থাকতো। মালদ্বীপও ভারতকে প্রকৃত বন্ধু বলেই পরিচয় দিত। দুই দেশের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট সরাসরি ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করেন এবং মালদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় সেনা জওয়ানদের প্রত্যাহার করতে চাপ দিতে থাকেন। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মালদ্বীপের এই ভারতবিদ্বেষ সামনে আসার পরই ভারতে বয়কটমালদ্বীপ ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পর্যটন নির্ভর মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকরা যাওয়া কার্যত বন্ধ করে দেয়। ফলে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়ছে ওই দেশ। উল্লেখ্য, মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটক উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বিদেশী মুদ্রার আয় কমেছে। কার্যত ধুঁকছে মালদ্বীপ পর্যটন।
এবার মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরই শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা। মালদ্বীপে ভারতের তিনটি এয়ারক্রাফ্ট রয়েছে। যেগুলি দূরবর্তী এবং প্রত্যন্ত দ্বীপ থেকে রোগী এবং আপাতকালীন পরিস্থিতিতে পরা মানুষদের রাজধানী মালে নিয়ে আসার কাজে ব্যবহৃত হতো। দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্ণিয়ার বিমান এই কাজ করত। যেগুলি পরিচালনা করতেন ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং পাইলটরা। গত সপ্তাহেই ভারত সেনা জওয়ান এবং পাইলটদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এরপর থেকে ওই তিনটি এয়ারক্রাফ্ট ওড়ানোর মতো কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না মালদ্বীপ সরকার। যা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মাউমুন। তিনি রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মালদ্বীপের সেনাবাহিনীতে ভারতের দুটি হেলিকপ্টার এবং ডর্ণিয়ার বিমান ওড়ানোর জন্য দক্ষ পাইলট নেই। কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও তা বিভিন্ন কারণে সম্পূর্ণ হয়নি। পাশাপাশি এই ধরণের এয়ারক্রাফ্ট ওড়ানোর মতো মালদ্বীপে কারও লাইসেন্সও নেই। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে মালদ্বীপের সাধারণ মানুষদের মধ্যে।
কি আশ্চর্য সমাপতন! সেই ২০০০ সালে রাজ্যে তখন ভরা বাম শাসন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়...
Read more
Discussion about this post