লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হল সন্দেশখালিতে। রবিবার সকাল থেকে ৪ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ ভোটের ফল বেরোনোর দিন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ প্রশাসন। তবে, ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পরেও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালো সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালিতে আগারহাটি মণ্ডলপাড়া ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রামে ঢুকে ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিলেন গ্রামের মহিলারা। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামে ঢুকে অত্যাচারের পাল্টা অভিযোগে বিক্ষোভ।
শেষ দফার ভোটে শনিবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। শনিবার ভোটের দিনও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সন্দেশখালির নেজাট থানার বয়ারমারী দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চুঁচুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ছবি। মারধর, মাথা ফাটানো, এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করা, এমন কি পুলিশকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে একাধিক ধারায় নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিচ্ছে মহিলারা। এই ঘটনায় এক মহিলা বলেন, “ওরা ঝামেলা করছে। রাজ্য পুলিশ তাড়া দিয়ে আমাদের ঘরে ঢোকাচ্ছে। রাতবিরেতে হামলা হচ্ছে। আমরা বাচ্চা নিয়ে কীভাবে থাকব? আমরা শান্তি চাই।” আরেক মহিলা বলেন, “আমাদের সামনে সারাক্ষণ হুমকি, আমাদের ঘরে ছেলেদেরে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। সোজাসুজি বলছে, আমরা দিদিকে ভোট দিই না। দিদি জিতলে আরও অত্যাচার বাড়বে।”
ভোটের পরের দিনই অর্থাৎ গত রবিবার থেকেই সন্দেশখালিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ভোটের ফল বেরোনোর দিন অর্থাৎ, আগামী ৪ জুন পর্যন্ত ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্দেশখালির বয়ারমারি গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে। ৫০-৬০ জনের তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সন্দেশখালির ঘটনায় ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে সপ্তম দফার ভোটে সন্দেশখালিতে কেন অশান্তি, তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল বোসও।
Discussion about this post