ফের ধাক্কা ইউনূসের। চাপে ফেললেন ইলন মাস্ক। বাংলাদেশের মিডিয়া এখন প্রচার করছে, বাংলাদেশে নাকি প্রচুর পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি। এদিকে বিভিন্ন রিপোর্ট সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্টারলিনকে বিনিয়োগ করতে চলেছে ইলন মাস্ক। আমেরিকা সরকারের দফতর DOGE এর প্রধান ইলোন মাস্কের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করে। সেখানে লেখা, আমেরিকা বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার যে অর্থ সাহায্য করত, সেগুলি আর করবে না।
উল্লেখযোগ্যভাবে আমেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালীন ট্যাক্সের টাকায় এমন খাতে খরচ করেছেন, যা এখন সমস্যা করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই এই সংস্থার দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের তরফের সাহায্য করা বিভিন্ন দেশকে আর্থিক অনুদানে লাগাম টানা হচ্ছে। DOGE বা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির তরফে করা এমন টুইটে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
যখন হাসিনা সরকারের পতন ঘটে বাংলাদেশে, তখন আমেরিকাকে দায়ী করা হচ্ছিল। এমনকি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শেখ হাসিনা নিজেও। যদিও তার পুত্র ওয়াজের জয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান এর পিছনে আমেরিকার কোন হাত নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও বলেছেন বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির জন্য কোনভাবেই ভূমিকা নেই আমেরিকার। তারমধ্যেই সামনে এল ইলন মাসকে নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির পদক্ষেপ।
এতে প্রবল চাপে পড়ল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। কারণ আগেই যুক্তরাষ্ট্র সমস্ত আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এছাড়াও একাধিক দেশ থেকে আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশে আসা। তার মধ্যে পদ্মা পাড়ের দেশে নেই কোন স্থায়ী সরকার। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাগাম টানা যাচ্ছে
না। দিন দিন বাড়ছে দ্রব্যমূল্য, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এদিকে হেলদোল নেই প্রশাসনের। নির্বাচন কবে হবে, সেই নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলেই সরকারের সামনে আসছে একাধিক চ্যালেঞ্জ। এদিকে সেই সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ ইউনুস, সেটা প্রমাণিত। তার উপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসতেই একের পর এক চাপ তৈরি করছে বাংলাদেশের উপর। এখন দেখার সেগুলি সামনে উঠতে পারে কিনা মহুমূদ ইউনুস।
Discussion about this post