প্রথম দফা ভোটের পরের দিনই মালদহের গাজোলের সভা থেকে আলিপুরদুয়ারের ভোট ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, “প্রকাশ চিক বরাইক সম্ভবত জিতে যাবেন।” ২৬ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলো বালুরঘাট রায়গঞ্জ দার্জিলিং এ। এর পর পরই উত্তরবঙ্গের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ঠ আশাবাদী দেখা গেল শাসকদলকে। গত লোকসভা ভোটে তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর দাবি, “বালুরঘাট জবাব দিয়ে দিয়েছে। দার্জিলিঙে তো বিজেপির বর্তমান সাংসদই ৪০টি বুথে পুনরায় ভোটের আবেদন জানিয়েছেন। ওঁর শরীরী ভাষা জানান দিচ্ছিল, এবারে উনি প্রাক্তন হতে চলেছেন। রায়গঞ্জের ফলও আমাদের অনুকুলে যাবে।” গতবারে উত্তরবঙ্গের সাতটি আসনেই হয়েছিল বিজেপির নামে। একটি আসনেও ছাপ ছাড়তে পারেনি শাসক দল। লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে উত্তরবঙ্গে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক নির্বাচনী সভা করেছিলেন সেখানে। বালুরঘাটেই চার চারটি সভা করেছেন মমতা। কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার করেছেন। তৃণমূল নেত্রীর পাশাপাশি একাধিক সভা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার প্রায় ৭২ শতাংশ। দিনের শেষে প্রদত্ত ভোটের হার আরও কয়েক শতাংশ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি প্রত্যেকটি কেন্দ্রের মহিলা ভোটারদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। চন্দ্রিমার আশা, “মহিলাদের সিংহভাগ ভোট তৃণমূলের অনুকুলে যাবে।” সুকান্তকে নিশানা করে ব্রাত্য বলেন, “উনি কখনও বুথের বাইরে আইসিকে হুমকি দিয়েছেন, কখনও তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে গেছেন। দিনভর ওনার পুরো মুভমেন্টটাই ছিল দিশেহারা, দেউলিয়া রাজনীতির বর্হিপ্রকাশ। ফলে বালুরঘাট যে জবাব দিয়ে দিয়েছে সেটা স্পষ্ট।”
সপ্তম দফায় ভোট যাদবপুর সহ আরও ৮ টি কেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এদিন বৃষ্টি...
Read more
Discussion about this post